বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অনুপ্রেরণাদায়ক প্রতিযোগিতা “নিউক্লিয়ার ডিলেমা চ্যালেঞ্জ”, যেখানে ৫০ জন ছাত্র ১০টি দলে বিভক্ত হয়ে পারমাণবিক শক্তি-সম্পর্কিত বাস্তব জীবনের সমস্যা মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করে। সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র (পিআইসি), ঈশ্বরদী-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ দক্ষতা ও দলগত কাজের চর্চা বৃদ্ধি করা।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে প্রিন্ট করা কেস স্টাডি সরবরাহ করা হয়, যেখানে নির্ধারিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দলগতভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ ও আলোচনা করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। পরবর্তীতে দলগুলো তাদের কৌশল ও সমাধান পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বিচারকদের সামনে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছাঃ স্নিগ্ধা সুলতানা নিতু। তিনি দলগুলোর উপস্থাপনা দক্ষতা, যুক্তিসংগত বিশ্লেষণ ও প্রশ্নোত্তর পর্বে পারদর্শিতা বিবেচনা করে মূল্যায়ন করেন।

“মধুমতি” নামক দলটি চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়। তারা শিপিং কোম্পানির সিইও-এর ভূমিকায় নিপুণভাবে উপস্থাপনা করে বাস্তবভিত্তিক ও উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করে বিচারকদের মুগ্ধ করে। তাদেরকে পিআইসি-এর গুডি ব্যাগ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। মধুমতি দলের সদস্যদের নাম, মোঃ শিহাব, খায়রুল বাশার আয়াত, জিগার হোসেন, মোঃ ইমন হাসান, এবং সিমুল সরকার।
এই প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা, দলগত সমন্বয় ও জনসম্মুখে বক্তব্য রাখার দক্ষতা বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি আধুনিক বিজ্ঞান ও নৈতিক বিষয়াবলির আলোচনায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামগ্রিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শিক্ষার অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
