সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র
সাইটটি বাংলাদেশের পারমাণবিক শিল্প, পারমাণবিক শক্তি এবং বিকিরণ সুরক্ষার সাধারণ নীতিগুলি, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার এবং সঠিক উত্তর পাওয়ার সুযোগের পাশাপাশি পাবনা জেলায় শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার তথ্য সরবরাহ করে।








আপনি কি জানেন?
পারমাণবিক শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে দক্ষ ও কম-কার্বন উৎসগুলোর মধ্যে একটি!
এটি পুরো জীবনচক্র জুড়ে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে, একইসাথে কম রিসোর্স ব্যবহার করে এবং কম জায়গা দখল করে।
উদাহরণস্বরূপ, সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌরশক্তির তুলনায় পারমাণবিক শক্তিতে ১৭ গুণ কম উপকরণ এবং ৪৬ গুণ কম জায়গার প্রয়োজন হয়।

বিআরইএসটি-ওডি-৩০০ হলো বিশ্বের প্রথম সীসা-শীতল, নাইট্রাইড-জ্বালানি-চালিত ফাস্ট নিউট্রন রিঅ্যাক্টর।এটি কুল্যান্ট হিসেবে পানির পরিবর্তে গলিত সীসা ব্যবহার করে।
-জ্বালানি তৈরি হয় ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম নাইট্রাইড (এমইউপিএন) দিয়ে।
-রিঅ্যাক্টর কোর স্থাপন করা হয় সীসা-ভর্তি রিইনফোর্সড কংক্রিট পুলের ভেতরে।
-এর ইন্টিগ্রাল ডিজাইনের কারণে আলাদা কোর ক্যাচার বা অতিরিক্ত সেফটি সিস্টেমের প্রয়োজন হয় না।
-এর দুই-সার্কিট সিস্টেম দক্ষভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং অপারেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
-এটি একটি বন্ধ পারমাণবিক জ্বালানি চক্রকে (ক্লোজড ফিউয়েল সাইকেল) সমর্থন করে, অর্থাৎ ব্যবহৃত জ্বালানি পুনরায় সাইটেই ব্যবহার করা যায়।

আপনি কি জানেন, প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর কীভাবে কাজ করে?
-ইউরেনিয়াম ফুয়েল রড ব্যবহার করে নিউক্লিয়ার ফিশনের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করা হয়।
-রিঅ্যাক্টরের ভিতরের পানিতে উচ্চচাপ প্রয়োগ করা হয় যাতে ৩২৫°সে তাপমাত্রাতেও সেই পানি না ফুটে।
-ফিশনের মাধ্যমে উৎপন্ন তাপকে একটি সেকেন্ডারি সার্কিটে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে বাষ্প উৎপন্ন হয়।
-সেই বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
-বিক্রিয়ার গতি ধীর করতে নেগেটিভ ফিডব্যাক ব্যবহার করা হয় এবং ব্যাকআপ হিসেবে শাটডাউন পদ্ধতিতে বোরন ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়।

আপনি কি জানেন?
প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর হলো আজকের দিনে বিশ্বের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর!
-এটি কুল্যান্ট এবং মডারেটর — উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ পানি ব্যবহার করে।
-এর সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো উচ্চ নিরাপত্তা — এর পৃথক পানির লুপগুলো তেজস্ক্রিয়তা যেন টারবাইন বা পরিবেশে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করে।
-এটি স্থিতিশীলতা ও নির্ভরযোগ্যতার জন্যও পরিচিত, যার ফলে এটি দীর্ঘমেয়াদি ও বৃহৎ পরিসরের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আদর্শ।

বিআরইএসটি-ওডি-৩০০ তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
বিআরইএসটি-ওডি-৩০০-এর নকশার মূলনীতি:
রিঅ্যাক্টরটির দুই-সার্কিট বিশিষ্ট ডিজাইন রয়েছে:
-প্রাথমিক সার্কিটে নিউক্লিয়ার ফুয়েল গলিত সীসাকে উত্তপ্ত করে।
-গলিত সীসা স্টিম জেনারেটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দ্বিতীয় সার্কিটের পানিতে তাপ স্থানান্তর করে।
-সেই পানি বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং টারবাইন জেনারেটর ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
