পারমাণবিক শক্তির সঠিক ব্যবহার ও এর সুফল সর্ম্পকে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মা দিবস উৎযাপন করার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী পৌরসভার নারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে এক সৌজন্যমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে কর্মজীবী মায়েরা বিভিন্ন প্রকার শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা (রোসাটম) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র (পিআইসি)।
অনুষ্ঠানটিতে ঈশ্বরদী পৌরসভার নারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের সন্তানদের সাথে নিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন মজাদার কর্মকান্ডে ব্যাস্ত থাকেন যেমন, পতাকা দেখে দেশের নাম বলতে পারা, আবিষ্কার অথবা আবিস্কারকের ছবি দেখে সাল ( নিম্নক্রম বা উর্দ্ধক্রম) অনুযায়ী সাজানো, তেজক্রিয় মৌল বাছাইকরা, চিত্রাঙ্কন এবং আরো অন্যান্য। মা এবং তাদের সন্তানেরা এতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহন করে। এরপর উপস্থিত সকলকে নিয়ে তেজস্কিয়তার জননী “মেরী কুরী” এর জীবনির উপর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকলের পক্ষে এক কর্মজীবী মা তার আবেগ মিশ্রিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্যের একটা বৃহৎ অংশ জুড়ে প্রাধান্য পেয়েছে কিভাবে একজন মা তার জ্ঞান–বুদ্ধি, চিন্তা–চেতনা এবং মনন শিলতার মাধ্যমেতার সন্তানের মেধা বিকাশে সহায়তা করে যা সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য। অনুষ্ঠানের শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে স্বরনীকা ও উপহার বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত: রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ঈশ্বরদী জেলার রূপপুরে নির্মীত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রূপপুর পারমাণবিকবিদ্যুৎ প্রকল্পে নির্মানাধীন দু’টি ইউনিটের প্রতিটিতে স্থাপিত হবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর–১২০০ রিয়্যাক্টর। এই রিয়্যাক্টরগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।