ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এফএনপিপি) “একাডেমিক লোমোনোসোভ” সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ার সুদূর চুকোটকা অঞ্চলের পেভেকে চালু হয়েছে।
এফএনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দায়ী সংস্থা রোসএনার্গোএটম (রোসাটম-এর বৈদ্যুতিক শক্তি বিভাগ) এর পরিচালক আন্দ্রে পেট্রোভ প্রাসঙ্গিক আদেশ স্বাক্ষর করেছেন। আন্দ্রে পেট্রোভ উল্লেখ করেন,“আজ আমরা ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন বিবেচনা করতে পারি। আমরা এই বছরের জন্য আমাদের মূল কাজটি শেষ করেছি – চুকোটকা অঞ্চলের পেভেকের এফএনপিপি সম্পূর্ণভাবে চালু করেছি। আজ, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার একাদশতম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের একটি।”
এর আগে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত, পারমাণবিক ও পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ সংস্থা রোসটেকনাডজোরের অধিদপ্তর প্রকল্পটির একটি পরিদর্শন করেছে। এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, এফএনপিপি একটি “স্টেটমেন্ট অফ কনফরমিটি” পেয়েছে। এই দলিলটি যাচাই করে যে এফএনপিপি সমস্ত প্রকল্প নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে নির্মিত। এছাড়াও, প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী ও তদারককারী নির্বাহী কর্তৃপক্ষ রোসপ্রিরডনাদজোরের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই নথিগুলি প্রাপ্তির অর্থ এফএনপিপি স্যানিটারি, মহামারী, পরিবেশগত, ফায়ার সেফটি, নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা এবং ফেডারেল স্ট্যান্ডার্ড সহ সমস্ত নিয়মাবলী এবং নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।
এফএনপিপি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ সাল থেকে চুকোটকার চাঁন-বিলিবিনো শক্তি কেন্দ্রের আইসোলেটেড গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। ইউএস পাওয়ার ম্যাগাজিন এই ইভেন্টটিকে ২০১৯ সালের ছয়টি মূল বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তি শিল্প ইভেন্টের একটি হিসাবে আখ্যায়িত করে।
গ্রিডের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর থেকে এফএনপিপি ইতোমধ্যে ৪৭.৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। বর্তমানে এটি চাঁন-বিলিবিনো শক্তি কেন্দ্রের চাহিদার ২০% প্রদান করে। বিলিবিনো এনপিপি বন্ধের পর এফএনপিপি চুকোটকার মূল শক্তির উৎস হয়ে উঠবে।