![](https://bdnuclear.energy/wp-content/uploads/2022/10/7741AB12-B285-45BA-A26E-C99B1AAC1556.jpeg)
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের টারবাইন হলে নকশা অনুযায়ী সঠিক স্থানে টার্বোজেনারেটর স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে (প্রকল্পের ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করছেন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ)। মূলত কাজগুলি রোসেম ট্রাস্ট এলএলসি এর (রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগের অংশ) বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে। এএসই (Atomstroyexport-ASE) এর প্রতিনিধি জানান “টার্বোজেনারেটর যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এছাড়াও, এটি পাওয়ার ইউনিটের সরঞ্জামগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভারী এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম; এর ওজন ৪৪০ টনের বেশি। সেজন্য জেনারেটরটি নকশা অনুযায়ী সঠিক স্থানে স্থাপন করা একটি অত্যন্ত চ্যালেন্জিং কাজ ছিল, এটির সফল সমাপ্তি টারবাইন হলের প্রধান সরঞ্জামগুলিকে ইনস্টল করার কাজকে সম্ভব করে তুলেছে”।
রেফারেন্সঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি পাওয়ার ইউনিট TZV-1200-2 মডেলের টার্বোজেনারেটর ব্যবহৃত হবে যা পাওয়ার মেশিন PJSC দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটির সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে ফায়ার সেফটি, এনহেন্চড রিল্যায়াবিলিটি এবং হাই স্ট্যাবিলিটি এগেন্স্ট ওভারলোড। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মোট ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি VVER-1200 চুল্লি দিয়ে সজ্জিত যা রাশিয়ান ডিজাইনের অধীনে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখের সাধারণ চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে। রাশিয়ার করা নকশায় বাংলাদেশের প্রথম এনপিপির জন্য VVER-1200 চুল্লি নির্বাচন করা হয়েছে, যেটি নভোভোরোনেজ এনপিপির দুটি ইউনিটে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি ৩+ প্রজন্মের একটি আধুনিক নকশা, যা সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।