প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বন্দর সম্পূর্ণরূপে চালু হলো
২৮.০৮.২০২০
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্দর পুরোপুরি চালু হল
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নেয়ার জন্য অদূরে পদ্মা নদীতে তৈরি করা বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হয়েছে (বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কাজের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার হলো জেএসসি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট যা রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি অংশ)।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি এবং পরবর্তীতে জ্বালানী সরবরাহ করার জন্য এই বন্দরটি ব্যবহার করা হবে।

রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের সহ-সভাপতি ও পরিচালক এস. জি. লাসতোচকিন জানান, “চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে এই বন্দর দিয়েই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন, ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল, চারটি স্টিম জেনারেটর ও বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ওঠা-নামা করানোর জন্য পোলার ক্রেন সরবরাহ করা হবে।”

বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বড় যন্ত্রপাতি পরিবহনের কাজটি সমুদ্রপথে সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং নোভোরোসিয়েস্ক থেকে বাংলাদেশের মংলা বন্দর পর্যন্ত বহন করা হবে। তারপর সেখান থেকে জাহাজে করে পদ্মা নদী দিয়েই নৌবন্দর হয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইটে পাঠানো হবে।

পদ্মা নদীর এ বন্দর তৈরিতে সময় লেগেছে দেড় বছর এবং আয়তনে ১৫০ মিটার x ৩৫০ মিটার। বছরের বিভিন্ন মৌসুমে নদীতে পানির গভীরতায় ১০ মিটারের পার্থক্য ধরে বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীতে সর্বোচ্চ পরিমাণে পানি নিচে নেমে গেলেও বন্দরঘাটে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন মিটার পানির গভীরতা থাকবে। এই গভীরতায় বছরের সব সময় সেখানে কাজ চলবে।

বর্তমানে বন্দরটিতে ৬৩ টন ধারণ ক্ষমতার দুটি ক্রেন রয়েছে। পরবর্তীতে বন্দরটিতে আরো ৩০৮ টন ধারণ ক্ষমতার দুটি ভারী ক্রেন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কাজ শুরুর ৬৮ মাসের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে রাশিয়ান কোম্পানি জেএসসি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের, যা রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি অংশ। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হবে।