প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪’
১৫.০৩.২০২৪

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের বীরত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ রাখতে বইমেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণ এবং বাংলা একাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বই মেলা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান অমর একুশে গ্রন্থমেলা ১৯৮৪ সাল থেকে জাঁকজমক পূর্ণভাবে আয়োজিত হচ্ছে।

দেশের বিখ্যাত সব প্রকাশনী ও বই বিক্রেতা ছাড়াও দেশের বাইরের, যেমন ভারত, রাশিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা তাদের বই ও প্রকাশনা নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরও অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ইত্যাদি, তাদের স্টল নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে।

পারমাণবিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলকে জনপ্রিয় করার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এর স্টলে পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র, ঢাকা বিগত বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন শিক্ষা মূলক কার্যক্রমের আয়োজন করেছিল।

স্টলে তথ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয়েছিল তাৎক্ষণিক কুইজ, ফেইস পেইন্টিং এবং গেমস, সাথে ছিল চমৎকার সব তথ্যমূলক বই যেগুলো দর্শনার্থীরা উপহার হিসেবে বিনামূল্যে পেয়েছে। এছাড়া সকলের সাধারণ প্রশ্ন এবং জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া হয়েছে তথ্য কেন্দ্র থেকে।

পতাকা দেখে দেশের নাম বলতে পারা, আবিষ্কার অথবা আবিষ্কারকের ছবি দেখে সাল অনুযায়ী সাজানো, তেজস্ক্রিয় উপাদানগুলির ভর সংখ্যা দেখে সাজান, চ্যালেঞ্জিং ফ্ল্যাট আর্থ, মাইন্ড স্প্রিন্ট, বিজ্ঞানীর অবিষ্কার অথবা জীবনকাল সম্পর্কে জেনে সেই বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারা, ক্লিন এনার্জি, মিথ-বাস্টার কিট (মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে অগমেন্টেড রিয়্যালিটির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ সম্পর্কে জানা) ইত্যাদি গেমগুলো দর্শনার্থীদের বেশি অকৃষ্ট করেছিল।

এ বছর মেলায় পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র, ঢাকা এর বিভিন্ন কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র দেখতে এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন।

(তথ্য সংগৃহীত)