
আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক প্রকল্প “আইসব্রেকার অফ নলেজ”-এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০টি দেশের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। এই গ্রীষ্মে তারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পারমাণবিক আইসব্রেকার “৫০ লেট পবেদি”-তে করে উত্তর মেরু অভিযানে অংশগ্রহণ করবে।
প্রকল্পটি পরিচালনা করছে রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অলাভজনক সংস্থা “এনার্জি অফ দ্য ফিউচার” এবং এতে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম।
অনলাইনভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের প্রায় ৪,০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সর্বাধিক অংশগ্রহণকারীর তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ (৮৪১), ভারত (৪৯২) এবং কিরগিজস্তান (৪৭১)। এর মধ্যে ২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়, প্রথম ধাপে ছিল একটি বৈজ্ঞানিক কুইজ। দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় শিক্ষামূলক ওয়েবিনারে, এরপর তাদের জ্ঞান যাচাই করে একটি নোট পূরণ করতে হয়। তৃতীয় ধাপে শীর্ষ স্কোরকারীরা নিজেদের দেশে পারমাণবিক প্রযুক্তি কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে—এ বিষয়ে একটি সৃজনশীল ভিডিও উপস্থাপন করে। আন্তর্জাতিক বিচারকমণ্ডলী এই ভিডিওগুলো মূল্যায়ন করেন। বিচারকমণ্ডলীদের মূল্যায়ন শেষে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জনকারীরা হলেন:
* আলিনা মনয়ান (আর্মেনিয়া)
* আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বাংলাদেশ)
* আন্দ্রেই কিরেইচুক (বেলারুশ)
* ভ্যালেরিয়া গুতিয়েরেজ কুইরোজ (বলিভিয়া)
* অক্টাভিও গোমেস লিয়েল (ব্রাজিল)
* আলিসা লি (চীন)
* তিমুর আমির আহমেদ (মিশর)
* কেলভিন টেটেহ (ঘানা)
* এনিকো ডেজসেরি (হাঙ্গেরি)
* আয়ুশ গোয়েল (ভারত)
* প্রিয়া আগুং উইচাকসোনো (ইন্দোনেশিয়া)
* লিদিয়া অসেননিকোভা (কাজাখস্তান)
* বারমেত উসেনোভা (কিরগিজস্তান)
* ক্রিস্টিনা মার্কোভা (মঙ্গোলিয়া)
* এইন্ট থু থু কিন (মিয়ানমার)
* টেগান বেরেসফোর্ড (নামিবিয়া)
* ইসাবেলা আইলিন নেল (দক্ষিণ আফ্রিকা)
* ডেনিজ আরদা (তুর্কিয়ে)
* আলিনা চেমবায়েভা (উজবেকিস্তান)
* গুয়েন নাম সন (ভিয়েতনাম)
রাশিয়ার পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী ছিল রেকর্ডসংখ্যক— ৬৩,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী। এর মধ্য থেকে ৩৫টি শহরের ১৪–১৬ বছর বয়সী ৪৮ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়। তারা কোয়ান্টাম টেকনোলজি, বায়োনিক্স ও রেয়ার আর্থ মেটালস নিয়ে দলগতভাবে সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করে। বিচারক প্যানেলে ছিলেন রোসাটম এবং বাইরের বিশেষজ্ঞগণ। সর্বশেষে ২৭ জন রাশিয়ান শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
২০২৫ সালের আগস্টে এই বিজয়ীরা এক অবিস্মরণীয় অভিযানে অংশ নেবে, যার মধ্যে থাকবে ইন্টেনসিভ শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং প্রথমবারের মতো তাদের দেশের পক্ষ থেকে উত্তর মেরুতে পা রাখার সুযোগ।
(ছবি: রোসাটম)