প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎযাপন করেছে পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র
২২.০২.২০২৩

২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩-এ, পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র (পিআইসি) ঈশ্বরদী অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎযাপন করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক শক্তির জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন খেলা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা ভাষার ওপর শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা যাচাইয়ের জন্য এনপিপিতে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ইংরেজি শব্দ বাংলায় অনুবাদ করতে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষভাগে স্কুলের শিশুরা ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিউক্লিয়ার ওয়ার্কার’ ও ‘নলেজ ইজ পাওয়ার’ নামের দুটি খেলায় অংশগ্রহণ করে।

“আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিউক্লিয়ার ওয়ার্কার” খেলায় মূলত এনপিপি কর্মীদের দ্বারা ব্যবহৃত বিভিন্ন বাংলা শব্দের একটি তালিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছিল এবং প্রতিটি শব্দের অর্থ অনুমান করতে বলা হয়েছিল। এরপর “নলেজ ইজ পাওয়ার” গেমটিতে, আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীদের একাধিক দলে ভাগ করা হয়েছিল এবং প্রতিটি দলকে দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ব্যাবহৃত ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ করতে দেওয়া হয়েছিল।

সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানেটি আকর্ষক এবং মজার ছিল, এবং শিক্ষার্থীরা এনপিপি এবং পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে শেখার পাশাপাশি গেমগুলি উপভোগ করেছিল। “নলেজ ইজ পাওয়ার” গেমে সর্বোচ্চ সংখ্যক পয়েন্ট পাওয়া দলটিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং গুডি ব্যাগ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র (পিআইসি), ২১ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ দিবস হিসেবে স্মরণ করতে এবং বিশ্বব্যাপী ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পাশাপাশি রূপপুর এনপিপি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক শক্তির জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা প্রচার করাও এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল। পিআইসি বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশে একটি টেকসই ও নিরাপদ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচী গড়ে তোলার জন্য জনশিক্ষা এবং সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।