প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
ঈশ্বরদী মহিলা কলেজে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা নিয়ে বিশেষ লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে
২৭.১১.২০২৫

ঈশ্বরদী মহিলা কলেজে “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা” শীর্ষক একটি শিক্ষামূলক লেকচার সেশন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন প্রসঙ্গে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, ইশ্বরদী (পিআইসি) এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।

“শক্তির অগ্রগতি: বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি ও টেকসই উন্নয়ন” শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই সেশনে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পারমাণবিক শক্তির অবদান, ঈশ্বরদী অঞ্চল ও বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি)–এর সুযোগ ও ভূমিকা, এবং পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ে জনসচেতনতা ও সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

লেকচারে প্রধান বক্তা ছিলেন ড. ইঞ্জি. মো. রাহেদুল ইসলাম রাহি, সহযোগী অধ্যাপক ও সহযোগী গবেষক ফেলো, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়; প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর, CH4Rice (APASRAF, JAXA); টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান হেলথ ইনিশিয়েটিভ–এর নির্বাহী সদস্য।

বক্তা তাঁর উপস্থাপনায় আলোচনার বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন— পারমাণবিক শক্তি কী, পারমাণবিক শক্তি কি সবুজ শক্তি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া, কেন পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজন, বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তির অবস্থা, এসডিজি কী, এবং এসডিজি অর্জনে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা।

লেকচার পর্ব শেষে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র (পিআইসি)–এর প্রতিনিধিরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে প্রচলিত বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর করেন এবং আরএনপিপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সুরক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা পারমাণবিক শক্তি ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং বক্তা ও পিআইসি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরাসরি উত্তর পান।