
বাংলাদেশ, বেলারুশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, ভিয়েতনামসহ মোট ২০টি দেশের ৩,৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ “আইসব্রেকার অফ নলেজ” আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছে।
এই বাছাই পর্বটি শেষ হয়েছে ২৭ মে, ২০২৫ তারিখে। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে ২০ জুন। চূড়ান্ত বিজয়ীরা পারমাণবিক আইসব্রেকার “৫০ লেট পবেদি”-তে চড়ে উত্তর মেরু অভিযানে অংশগ্রহণের একটি বিরল সুযোগ পাবেন।
এই বছরের অভিযানটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি রুশ পারমাণবিক শিল্পের ৮০ বছর পূর্তি এবং উত্তর সাগরীয় পথ (নর্দান সি রুট) অন্বেষণের ৫০০ বছর পূর্তির প্রতীক হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছর কিরগিজস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে, যা এই অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে পারমাণবিক বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিযোগিতার সবগুলো ধাপই goarctic.energy প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪–১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা প্রথম ধাপে একটি বৈজ্ঞানিক কুইজে অংশ নেয় এবং পরবর্তীতে পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ক ইন্টারেক্টিভ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করে। শীর্ষস্থানীয় শিক্ষার্থীরা এখন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপে ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজ করছে, যেখানে তারা ব্যাখ্যা করবে কীভাবে পারমাণবিক প্রযুক্তি তাদের নিজ দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এই ভিডিওগুলোর মূল্যায়ন করবে।
২০২৫ সালটি রাশিয়ান পারমাণবিক শিল্পের ৮০ বছরপূর্তি উদ্যাপন করছে। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার প্রথম শুরু করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নই—১৯৫৪ সালে ওবনিনস্কে নির্মাণ করেছিল বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ১৯৫৯ সালে চালু করেছিল বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক আইসব্রেকার, লেনিন।
২০২৫ সালের এই অভিযান শুধুমাত্র ঐতিহ্য উদ্যাপন নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকার এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করবেও।