মিশর ও রাশিয়ার উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন
চতুর্থ পাওয়ার ইউনিটের ফাউন্ডেশন স্ল্যাবে “প্রথম কংক্রিট” ঢালাইকে উৎসর্গ করে আরব প্রজাতন্ত্রের মিশরে, এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) নির্মাণ সাইটে (প্রকল্পের সাধারণ ডিজাইনার এবং সাধারণ কন্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করছেন রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন প্রকৌশল বিভাগ) একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি চতুর্থ পাওয়ার ইউনিট নির্মাণের মূল পর্যায়ের সূচনাকে ইঙ্গিত করে, এরি সাথে চার-ইউনিট বিশিষ্ট এল-দাবা এনপিপি আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সিং অনুষ্ঠানে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মিশরের আরব প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি, রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ, মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ শাকের, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আমগেদ এল-ওয়াকিল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এল-দাবা এনপিপি এর চতুর্থ পাওয়ার ইউনিটের ফাউন্ডেশন স্ল্যাবে “প্রথম কংক্রিট” ঢালাই শুরু করার জন্য প্রতীকী অনুমতি প্রদান করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করে রোসাটমের মহাপরিচালক বলেন, আমরা আজ মিশরের পারমাণবিক শক্তি এবং রাশিয়ান-মিশরীয় সম্পর্কের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনাকে স্মরণ করছি। এখন এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি পাওয়ার ইউনিট নির্মাণাধীন। এর মানে হল যে আমাদের মিশর সাইটটি বিশ্বের দুটি বৃহত্তম পারমাণবিক নির্মাণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠছে।
মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী ডক্টর মোহাম্মদ শাকের বলেছেন, আজ পর্যন্ত যেই কৃতিত্বগুলি অর্জিত হয়েছে তা রাশিয়ার পক্ষ থেকে মিশরের অংশীদারদের সাথে ফলপ্রসূ সহযোগিতার একটি প্রমাণ। তিনি আরও বলেছেন যে, এল-দাবা এনপিপিতে আপনারা আজ যা দেখছেন তা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং মিশর এবং রাশিয়া উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বারা প্রদত্ত সমর্থন ও ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার ফলাফল, পাশাপাশি উভয় পক্ষে কর্মরত সকলের নিরলস কঠোর পরিশ্রম। মিশরীয়-রাশিয়ান কর্মরত দলগুলি প্রকল্পের মূল মাইলফলকগুলি অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে।