প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
গ্লোবাল অ্যাটমিক কুইজ অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর — রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প
০২.১১.২০২৫

এই বছর পারমাণবিক শক্তির ইতিহাস ও ভবিষ্যৎকে উৎসর্গ করে আয়োজিত কুইজটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬টি ভাষায়। ১০ নভেম্বর, বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রোসাটম আয়োজন করছে গ্লোবাল অ্যাটমিক কুইজ। এ বছর কুইজটি আরও বেশি আন্তর্জাতিক পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে — অনলাইনে ১৬টি ভাষায়, পাশাপাশি অফলাইনে, ভিয়েতনাম থেকে ব্রাজিল পর্যন্ত। প্রধান অফলাইন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে মস্কোতে।

বাংলাদেশে অফলাইন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, এবং পারমাণবিক শক্তি তথ্য কেন্দ্র, ঢাকা-তে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান যাচাই করবে এবং বিজ্ঞান উদ্‌যাপন করবে একসাথে। নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এখানে অংশগ্রহন করতে পারবেন।

কুইজে অংশগ্রহণকারীরা শুধু শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে জানবেন এবং অনন্য পুরস্কার জেতার সুযোগ পাবেন তাই না, বরং পারমাণবিক আবিষ্কারের বিভিন্ন যুগের সঙ্গে পরিচিত হবেন। তারা ১৮টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পাবেন, যা তিনটি থিমে বিভক্ত থাকবে — “ইতিহাস”, “বর্তমান প্রযুক্তি”, এবং “ভবিষ্যৎ”।

কুইজে অংশ নিতে, অংশগ্রহণকারীদের ১০ নভেম্বর প্রকল্পের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে: https://quiz.atomforyou.com

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্তরের প্র্যাকটিস টেস্ট-ও উপলব্ধ থাকবে। বিজয়ীদের তালিকা ২২ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ১০০ জন বিজয়ী পাবেন এক্সক্লুসিভ পুরস্কার, এবং শীর্ষ ৩ জন অংশগ্রহণকারী জিতবেন বিশেষ পুরস্কার — রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ এবং সব অংশগ্রহণকারীই পাবেন ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট।

গ্লোবাল অ্যাটমিক কুইজ শুধুমাত্র একটি জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক ইভেন্ট নয়, বরং এটি একটি সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক প্রকল্প। এটি পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা ব্যাখ্যা করে, দৈনন্দিন জীবনে পারমাণবিক প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে এবং আমাদের নাজুক পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারমাণবিক বিজ্ঞানের ভূমিকা প্রকাশ করে।


এই প্রকল্পটি ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১৬টি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে: রুশ, ইংরেজি, উজবেক, আরবি, হাঙ্গেরিয়ান, তুর্কি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, চীনা, বার্মিজ, ইন্দোনেশিয়ান, বাংলা, কাজাখ, কিরগিজ, মঙ্গোলিয়ান, এবং ভিয়েতনামিজ। গত পাঁচ বছরে ১০০টিরও বেশি দেশের ৬৫,০০০-এর বেশি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এই কুইজে অংশ নিয়েছে।

২০২৩ সালে, কুইজটি “সায়েন্স ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” বিভাগে IX অল-রাশিয়ান পুরস্কার ‘ফর ফিডিলিটি টু সায়েন্স’ অর্জন করে।

রোসাটমের তৈরি শিক্ষা অবকাঠামো নেটওয়ার্কে রয়েছে ২৫টি পারমাণবিক শক্তি তথ্য কেন্দ্র (রাশিয়া ও বিদেশে), যা শুধু ২০২৩ সালেই ২,৮০,০০০-এর বেশি দর্শনার্থী আকর্ষণ করেছে।

মানবজাতির অগ্রগতিতে বিজ্ঞানীদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ২০০১ সালে ইউনেস্কো ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস’ (ওয়ার্ল্ড সাইন্স ডে ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) প্রতিষ্ঠা করে।

(ছবি: অ‍্যাটম মিডিয়া)