প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
“টি পার্টি: ব্রিজিং বর্ডারস” চলাকালীন রাশিয়া এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছে
১৭.০৮.২০২৩

আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বিনিময় একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ রাশিয়ার মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (এনপিপি) ইন্টার্ন করা রাশিয়ান শিক্ষার্থীরা গত ১৭ আগস্ট পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান রসায়ন বিভাগে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উভয় দেশের শিক্ষার্থীরা ভাষা বিনিময় অধিবেশনে অংশ নিয়েছিল: দোভাষীর সাহায্যে, তারা বাংলা এবং রাশিয়ান ভাষায় প্রতিদিনের ব্যবহৃত শব্দ এবং বাক্যাংশ একে অপরকে শিখিয়েছিল। এরপর রাশিয়ায় ও বাংলাদেশে অধ্যয়নকালে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনা এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে ভাগ করেছিল।

উভয় দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সাথে একটি চা পার্টির আয়োজন করা হয়, এসময় রাশিয়ান ছাত্ররা তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে তারা রূপপুর এনপিপিতে ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করেছে তা বাংলাদেশি ছাত্রদের সামনে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জানান, “টি পার্টি ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ান শিক্ষার্থীদের সাথে মিটিং এবং আলাপচারিতা আমাদের তাদের সংস্কৃতি এবং ভাষা সম্পর্কে শেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ভাষা বিনিময় অধিবেশন খুবই মজাদার ছিল, আমি এটা সবচেয়ে উপভোগ করেছি। শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এবং চা পার্টি ছিল উভয় দেশের খাদ্যাভাসের সাথে পরিচিত হওয়ার একটি মজার উপায়। আমরা কিছু নতুন বন্ধু তৈরি করেছি এবং ভবিষ্যতে সংযুক্ত এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার অপেক্ষায় রয়েছি।

রাশিয়ান শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জানান, “এটি একটি খুব দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল! আমি এই ধরনের একটি ইভেন্টে প্রথমবার অংশ নিয়েছি। আমি যে মেয়েটির সাথে একই টেবিলে বসেছিলাম সেদিন তার জন্মদিন ছিল।আমাকে শিখেছি কীভাবে তাকে বাংলায় অভিনন্দন জানাতে হয় – “শুভ জন্মদিন“! এখানে উপস্থিত সকলে আমার প্রায় সমবয়সি, কিন্তু দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেছি আমরা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণ হাস্যোজ্জ্বল, নিজেদের এবং বাংলাদেশের জীবনকে আরও ভালো করার জন্য সচেষ্ট।