বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অনুষ্ঠান “নিউক্লিয়ার হাইপোথিসিস” সফলভাবে আয়োজন করেছে ‘সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, ঈশ্বরদী’। অনুষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতা যাচাই করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। এছাড়াও এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, দলগত আলোচনা এবং শেখার পরিবেশ তৈরি করেছে।
নিউক্লিয়ার হাইপোথিসিস একটি দলগত প্রতিযোগিতা যেখানে শিক্ষার্থীরা দলগত ভাবে অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক দলকে একটি কল্পিত পরিস্থিতির প্রশ্ন দেওয়া হয়। দলগত আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তর এবং উত্তরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়। নিঃসন্দেহে এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীলতা জাগ্রত করে এবং চিরাচরিত পড়াশোনার বাহিরে সৃষ্টিশীল হতে শেখায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন এবং বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মোছাঃ লুবনা জাহান বর্ণা, সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়।

এবারের অনুষ্ঠানটিতে ১৫টি দলে বিভক্ত হয়ে মোট ৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলকে একটি হাইপোথিসিস কার্ড দেওয়া হয়, এবং প্রদত্ত হাইপোথিসিস পর্যালোচনা এবং দলীয় আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের হাইপোথিসিসের যুক্তি এবং বিশ্লেষণ বিচারকের সামনে উপস্থাপন করে। বিচারক প্রতিযোগীদের উপস্থাপনার দক্ষতা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং যুক্তির ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেন। ১৫টি দলের মধ্যকার প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকের মূল্যায়নের ভিত্তিতে “টিম-৩; ” বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং বিজয়ী দলের সকলকে পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র এর পক্ষ থেকে গুডি ব্যাগ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ী দলের সদস্যদের নাম যথাক্রমে, শারমিন আক্তার নেহা, মোছাঃ শান্তা খাতুন, মোছাঃ নেহা, এবং মোছাঃ তানিশা।
অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলেছে এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও দলগত কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ এই আয়োজনের প্রশংসা করেছেন এবং এর শিক্ষণীয় ও আকর্ষণীয় দিকগুলো উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।
