প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন শীর্ষক আন্তর্জাতিক গোলটেবিল বৈঠক কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে
৩০.১১.২০২৩

রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের সহায়তায় আস্তানায়, “শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া হিসাবে পারমাণবিক শক্তি” বিষয়ের উপর একটি গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে কাজাখস্তান, রাশিয়া, বেলারুশ, হাঙ্গেরি ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিল।

বৈঠকে বক্তারা শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পৃথিবীর জলবায়ু রক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন: পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ক্রমাগত পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ, এতেকরে সমাজ এবং শিল্প একটি কম কার্বন-উৎপাদনকারী ও স্থিতিশীল শক্তির উৎস পাচ্ছে। এর একটি ভাল উদাহরণ হল রোসাটম দ্বারা নির্মিত বেলারুশিয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার ডিজাইন ক্যাপাসিটিতে পৌঁছাবে, তখন বেলারুশ প্রজাতন্ত্র প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার এক তৃতীয়াংশ কমাতে সক্ষম হবে, সেইসাথে প্রতি বছর ১২% গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সক্ষম হবে। এদিকে পাক্’স-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং আক্কুয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র- এর নির্মাণও হাঙ্গেরি এবং তুরস্কের শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থার ডিকার্বনাইজেশন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

অনুষ্ঠানে কাজাখস্তান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একজন প্রতিনিধি জানান, “সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করতে হবে। পারমাণবিক শক্তির বিকাশ আমাদের এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য, স্থিতিশীল বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস। আজ বিশ্বে শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থার বিকাশের জন্য সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি হল পারমাণবিক শক্তি।”

রোসাটমের প্রতিনিধি জানান, “যে কোনো মডেল অনুযায়ী পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কিত  প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা রোসাটমের রয়েছে। ক্লায়েন্টকে সর্বোত্তম বাজেটের মধ্যে সর্বোত্তম প্রযুক্তিগত সমাধান অফার করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক  নিশ্চিত করে পাশে থাকতে প্রস্তুত।”

অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণকারীরা উচ্চ-প্রযুক্তির শিল্প, বিজ্ঞান এবং তাদের দেশের মানবসম্পদের সম্ভাবনার বিকাশে পারমাণবিক শক্তির অবদান নিয়েও আলোচনা করেন। এর মধ্যে একটি পৃথক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে; মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে পানির ঘাটতির প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার পরিবেশগত দিক। বিশেষজ্ঞরা শুষ্ক কুলিং টাওয়ার ব্যবহার করার বিদ্যমান অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেছেন, যা সরঞ্জাম ঠান্ডা করার সময় পানির অপচয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।