প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াডে ভারতের ১২,০০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে
০৯.০৯.২০২৪

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে এই অলিম্পিয়াডটি চতুর্থবার মত অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যার দিক থেকে একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর, চেন্নাইয়ের রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ‘প্রিসাইস এনার্জি-২০২৪’ অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্যায়ের আয়োজন করে। তামিলনাড়ুর আটটি শহরের ১২,০০০ এর বেশি ছাত্রছাত্রী, অলিম্পিয়াডের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে। ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।

অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা করেছে: বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা গণিত, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের সমস্যার সমাধান করেছে, এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানের সাধারণ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অলিম্পিয়াডে এ বছর, প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত দলগুলো একসঙ্গে কাজ করা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয় এমন জটিল প্রকৌশল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিযোগিতা করেছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোসাটমের প্রতিনিধি নিনা ডেমেনসোভা জানান, “আমরা চেন্নাইয়ে চার বছর ধরে ‘প্রিসাইজ এনার্জি’ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে আসছি। প্রতি বারই এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যেখানে অনেক প্রতিভাবান এবং বুদ্ধিমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। আমরা বিশ্বাস করি যে প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব ভবিষ্যৎ স্বপ্ন আছে এবং আমরা সত্যিই চাই যে এই প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক।”

“প্রিসাইজ এনার্জি” অলিম্পিয়াডের লক্ষ্য হলো প্রকৌশল পেশার প্রচার করা এবং তামিলনাড়ুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিভাবান তরুণদের উৎসাহিত করা। অলিম্পিয়াডটি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট, জেএসসি (রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন) এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান “এনার্জি অফ দ্য ফিউচার”-এর সহযোগিতায় চেন্নাইয়ে রাশিয়ান হাউস, মস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স ইনস্টিটিউট (এমইপিএইচআই) এবং তামিলনাড়ু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের অংশীদারিত্বে সংগঠিত হয়।

“প্রিসাইজ এনার্জি-২০২৪” অলিম্পিয়াডের বিজয়ীরা হলেন:

স্কুল স্তরে – রোহিত সাজিথ, সেন্ট জনস পাবলিক স্কুল;

গণিতে – সানময় আনন্দ, ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি;

পদার্থবিজ্ঞানে – ভেঙ্কটা তেজা ইয়ানামালা, হিন্দুস্থান ইউনিভার্সিটি;

রসায়নে – শোঁন অরল্যান্ডো এম, রাজালাক্ষ্মী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ;

প্রকৌশল সমস্যার সমাধানের প্রতিযোগিতা – হিন্দুস্থান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের দল।