
এই ইঞ্জিনগুলো রাশিয়াকে গভীর মহাকাশ গবেষণার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে নিয়ে যাবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের বিজ্ঞানীরা একটি ম্যাগনেটিক প্লাজমা অ্যাক্সেলারেটর ভিত্তিক প্লাজমা বৈদ্যুতিক রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষাগার প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন, যা উন্নত থ্রাস্ট পারফরম্যান্স (কমপক্ষে ৬ নিউটন) এবং নির্দিষ্ট ইম্পালস (কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড) প্রদর্শন করে। প্রকল্পটি রাশিয়ার পারমাণবিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের একটি বিস্তৃত কর্মসূচির অংশ, যা “নতুন পারমাণবিক ও জ্বালানি প্রযুক্তি” নামে একটি নতুন জাতীয় উদ্যোগের অধীনে ২০২৫ সালে চালু হয়েছে।
এ ধরনের একটি ইঞ্জিন পালসড-পিরিয়ডিক মোডে পরিচালিত হলে গড়ে ৩০০ কিলোওয়াট শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। এই ইঞ্জিনগুলো মহাকাশযানকে এমন গতিতে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম করবে যা রাসায়নিক ইঞ্জিনের ক্ষমতার বাইরে এবং জ্বালানির প্রয়োজন ১০ গুণ কমিয়ে আরও কার্যকর জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ দেবে।
রোসাটমের ট্রোইটস্ক গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি জানান, “বর্তমানে প্রচলিত ইঞ্জিনযুক্ত মহাকাশযানে মঙ্গল গ্রহে একমুখী ভ্রমণে প্রায় এক বছর লেগে যায়, যা মহাকাশীয় বিকিরণের কারণে নভোচারীদের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তবে, প্লাজমা ইঞ্জিনের সাহায্যে মঙ্গল অভিযানের সময়সীমা মাত্র ৩০ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব, যা মঙ্গল থেকে ফিরে আসার মিশনকেও বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলবে। প্রোটোটাইপ তৈরির বিষয়টি প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ এটি নির্ধারণ করবে যে এই ইঞ্জিন ভবিষ্যতের “পারমাণবিক টাগ” গুলোর জন্য উপযুক্ত কিনা এবং এর উৎপাদন খরচ কীভাবে কমানো সম্ভব।”