করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর মূল রিয়্যাক্টর ভবনের তৃতীয় ধাপের কংক্রিট ঢালাই কাজ গত বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয়েছিলো যা শনিবার ভোরে সম্পন্ন হয়।
কংক্রিট ঢালাইয়ে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান ও নকশা নথি অনুযায়ী কাজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এজন্য রাশিয়ার নিযুক্ত ঠিকাদার ‘এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট’ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী তদারকি করেছেন।
প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর বৃহস্পতিবার রাত হতে ইউনিট-১ এর মূল রিয়্যাক্টর ভবনের তৃতীয় ধাপের কংক্রিট ঢালাই কাজর শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সে সময় তিনি উল্লেখ করেন, এই ধাপে ২০ মিটার হতে ৩৪.৫ মিটার উচ্চতার ঢালাই কাজ দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে চলবে। ঢালাই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ইতোমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইন প্রস্তুতকারী রাশিয়ান সহ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই কাজের ব্যবস্থাপনা ও তদারকি করছেন। এছাড়াও রাশিয়ার নিযুক্ত ঠিকাদার ‘এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট’ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা কাজের তদারকিতে নিয়োজিত আছেন। এই বিশেষজ্ঞরা কংক্রিট ঢালাই কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমানও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রণিত ডিজাইন ডকুমেন্টেশনের আলোকে যথাযথভাবে ঢালাই কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রিয়্যাক্টর ভবনের তৃতীয় ধাপের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ ৪০ ঘন্টা চলার কথা হয়ে থাকলেও তা পরবর্তীতে ৩৪ ঘন্টায় সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, রূপপুর এনপিপি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে রাশিয়ার সর্বাধুনিক ৩+প্রজন্মের দুটি রাশিয়ান ভিভিয়ার- ১২০০ চুল্লি স্থাপন করা হবে। একই সাথে দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সময়মতো এগিয়ে চলছে। কেন্দ্রটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগা-ওয়াট। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।