প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য কর্মীদের প্রাক-লাইসেন্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে
০১.০৭.২০২৪

রাশিয়ান স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি কর্পোরেশন রোসাটম এর সহায়তায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেশন এজেন্সি (বিএইআরএ) কর্তৃক লাইসেন্সিং সাপেক্ষে প্ল্যান্টের প্রথম পাওয়ার ইউনিটের জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রাক-লাইসেন্সিং প্রশিক্ষণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্পন্ন হয়। রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। ৪৮ জন বাংলাদেশি পরমাণু বিশেষজ্ঞ (মূল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটিং কর্মী, প্রধান প্রকৌশলী এবং উপপ্রধান প্রকৌশলী) বেসিক লাইসেন্স পাওয়ার মূল পরীক্ষায় ভর্তি হন।

রোসাটম টেকনিক্যাল অ্যাকাডেমির প্রজেক্ট ডিরেক্টর সের্গেই লিউলিন বলেছেন, পজিশন ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলো বিভিন্ন ধাপ নিয়ে গঠিত। একাডেমি শাখায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ এবং নভোভোরোনেজ এনপিপি-তে পরীক্ষা শেষ করার পর বাংলাদেশি পারমাণবিক বিশেষজ্ঞরা রূপপুর এনপিপি সাইটে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দেড় বছরের জন্য প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তারা প্রি-লাইসেন্সিং প্রশিক্ষণ শুরু করেন। প্রতিটি প্রশিক্ষণ পর্যায়ে ১০টিরও বেশি মানদণ্ড অনুযায়ী জ্ঞানের মূল্যায়ন করা হয়। এরপর প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও, রোসাটম টেকনিক্যাল অ্যাকাডেমির সেফটি কালচার এবং পারসোনাল রিলাইঅ্যাবিলিটি কমপিট্যান্স কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা স্পেশাল-পারপাস সাইকো-ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য এবং সাইকো-ফিজিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলি তদন্ত করে।

সের্গেই লিউলিন বলেন, “পজিশনের উপর নির্ভর করে কর্মীদের এক থেকে তিন বছরের জন্য প্রশিক্ষিত করা হয় যাতে ভবিষ্যতে বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিরাপদে এবং পেশাদারভাবে পরিচালনা করতে পারে। আজ ৪৮ জন বাংলাদেশি পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন এবং রূপপুর এনপিপি-র প্রথম পাওয়ার ইউনিটে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাজের পারফরম্যান্সের অনুমতি পাওয়ার জন্য বেসিক লাইসেন্স পাওয়ার মূল পরীক্ষায় ভর্তি হন।”

এদিকে রোসাটম আয়োজিত অ্যাটোম স্কিল ২০২৪ নামক প্রতিযোগিতা রাশিয়ার ইয়েকাটেরিনবার্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রূপপুর এনপিপি থেকে ওয়েল্ডারদের দুটি দল এবং নির্মাণ ও ইনস্টলেশন শ্রমিকদের একটি দল অংশগ্রহণ করে, তিনটি দলে মোট ৯ জন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে ওয়েল্ডারদের তিনটি মডিউলে কাজ করতে হয়েছিল। প্রথম মডিউলটিতে আবার তিনটি নমুনা ছিল। এর পাশাপাশি নির্মাণ ও ইনস্টলেশন দলকেও তিনটি প্রধান মডিউলে কাজ করতে হয়েছিল।

সকল প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে কংক্রিট কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কস ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ দল সম্মানজনক দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন, অস্ট্রেনকো কনস্ট্যান্টিন, জাসোরিন ইভজেনি, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ জুয়েল হোসেন, নাজমুল হুদা, কাওসার আলী।