
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র (পিআইসি), ঈশ্বরদী একটি অনন্য ইভেন্টের আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল “শিল্প ও শক্তির মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন: ভবিষ্যতের রঙে আঁকা”। এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক আনন্দের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক শিক্ষার একটি অসাধারণ সমন্বয় ঘটানো হয়। ঈশ্বরদীর অঞ্চলের ৫৬ জন স্কুল শিক্ষার্থী দিনটি কাটান সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও শেখার পরিবেশে।
অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও টেকসই জ্বালানি অগ্রগতির সংযোগ তুলে ধরা। ইভেন্টটি দুইটি আকর্ষণীয় সেশনে ভাগ করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিল্পের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো অন্বেষণ করে।
মূল কার্যক্রম ছিল “নিউক্লিয়ার আর্টিস্টি”, যার মধ্যে ছিল মাটির হাঁড়ি রং করার সেশন। শিক্ষার্থীরা পারমাণবিক মডেল, রেডিয়েশন চিহ্ন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত মোটিফ আঁকেন মাটির হাঁড়ির ওপর। একটি বিশেষ বুথে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী সরবরাহ করা হয় এবং উদাহরণ হিসেবে আরএনপিপি কুলিং টাওয়ার, পারমাণবিক কাঠামো এবং সৌর ও পারমাণবিক শক্তির তুলনামূলক চিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে।
উৎসবের আমেজ বাড়াতে একটি অতিথি শিল্পী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি নকশার সঙ্গে পারমাণবিক বিজ্ঞানের থিম মেলানোর পরামর্শ দেন, যাতে সাংস্কৃতিক গর্বের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের রঙিন মাটির হাঁড়ির প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে তারা সৃজনশীলতা এবং বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে।
এই উদ্যোগটি নববর্ষ উদ্যাপনকে আরও স্মরণীয় এবং অর্থবহ করে তুলেছে, এবং অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।