
ভালোবাসা, বিজ্ঞান এবং টেকসই ভবিষ্যতের এক অনন্য সম্মিলনে, পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, ঈশ্বরদী “ভবিষ্যতের আলোর পথে মায়েরা: ভালবাসা ও বিজ্ঞানের উদ্যাপন” শীর্ষক এক বিশেষ মা দিবস অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের মা সহ মোট ৬৫ জন উৎসাহী অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে, তথ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি উষ্ণ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, যেখানে তিনি অনুষ্ঠানের দ্বৈত উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরেন—মায়েদের অবদানকে সম্মান জানানো এবং একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি)-এর অবদান তুলে ধরে, বক্তা দেখান কীভাবে বিজ্ঞান ও ভালবাসা একত্রে একটি টেকসই আগামী গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল “মা-সন্তান বিজ্ঞানভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা”, যেখানে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা তাদের মায়েদের সঙ্গে দল গঠন করে “আমার মা, আগামী শক্তির নায়িকা” শীর্ষক বিষয়ে শিল্পকর্ম উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে একটি মজার ও শিক্ষামূলক অংশ ছিল “গেস দ্য সায়েন্টিস্ট মম!” যেখানে অংশগ্রহণকারীদেরকে কিছু অনুপ্রেরণাদায়ক উক্তির ভিত্তিতে বিখ্যাত নারী বিজ্ঞানীদের চিহ্নিত করতে বলা হয়—যাঁরা অনেকেই মাতৃত্বের পাশাপাশি অসাধারণ বৈজ্ঞানিক কাজ করেছেন। এ খেলা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং বিজ্ঞানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা তৈরি করে।
সারা অনুষ্ঠান জুড়ে খোলা ছিল একটি “মা কে শ্রদ্ধা জানাও” বোর্ড, যেখানে শিশুরা তাদের মায়েদের উদ্দেশে হাতে লেখা ধন্যবাদ বার্তা পোস্ট করতে পারে। অল্প সময়েই বোর্ডটি ভালোবাসায় ভরা বার্তা ও ব্যক্তিগত গল্পে ভরে ওঠে, যা দিনটির এক আবেগঘন দৃশ্য হয়ে ওঠে।
ভালোবাসা, সৃজনশীলতা ও বিজ্ঞানশিক্ষাকে একত্রে মিশিয়ে, পিআইসি একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান উপহার দেয় যা শুধু মাতৃত্বকে সম্মানই জানায়নি, বরং ভবিষ্যৎ নির্মাণে বিজ্ঞানের—বিশেষ করে পারমাণবিক শক্তির—গুরুত্বও তুলে ধরেছে।