রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের নিয়ে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে এক সৌজন্যমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে কর্মজীবী বাবা এবং তাদের সন্তানেরা বিভিন্ন প্রকার শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল একটি মজার এবং সৃজনশীল কার্যকলাপের জন্য বাবা এবং শিশুদের একত্রিত করা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, (পিআইসি) ইশ্বরদী।
অনুষ্ঠানটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বাবারা তাদের সন্তানদের সাথে নিয়ে পিআইসি’তে আসেন এবং বিভিন্ন মজার ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকেন যেমন, ফ্ল্যাট আর্থ গেম, মিথবাস্টার কীট এর সাহায্যে বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশের নাম এবং কাজ সম্পর্কে জানা, ব্যালেন্সিং বোর্ড ব্যবহার করে ভারসাম্য রক্ষা করা, পতাকা দেখে দেশের নাম বলতে পারা, বিজ্ঞানীদের জীবনে পড়ে বিজ্ঞানীর নাম অনুমান করা, বিভিন্ন আবিষ্কার অথবা বিজ্ঞান বিষয়ক ঘটনার ছবি ও বিবরণ সম্বলিত কার্ড ক্রনোলজিকালী সাজানো ইত্যাদি। এই মজার গেম গুলিতে অংশগ্রহণ করে অনেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। অনুষ্ঠানটির অংশ হতে পেরে বাবা এবং তাদের সন্তানেরা উচ্ছ্বসিত ছিল এবং সকলে এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
এরপর “পারমাণবিক জ্বালানি এর রোমাঞ্চকর যাত্রা” শীর্ষক একটি চিত্তাকর্ষক ভিডিও চিত্র সকলের জন্য পরিবেশন করা হয়, যেখানে পারমাণবিক জ্বালানি খনি থেকে উত্তোলন, সমৃদ্ধকরণ এবং তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রক্রিয়া দেখানো হয় যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ তৈরি করে৷
সর্বশেষে উপস্থিত সকলের পক্ষে এক কর্মজীবী বাবা তার আবেগ মিশ্রিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্যের একটা বৃহৎ অংশ জুড়ে প্রাধান্য পেয়েছে কীভাবে একজন বাবা তার জ্ঞান–বুদ্ধি, চিন্তা–চেতনা এবং মনন শিলতার মাধ্যমেতার সন্তানের মেধা বিকাশে সহায়তা করে যা সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে তাদের সন্তানদের সম্পৃক্ত করার অনুরোধ জানান।