![](https://bdnuclear.energy/wp-content/uploads/2022/06/D2D2DB2E-F08F-4EA2-A653-13E515EC9D85.jpeg)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার ইউনিট ২ এর রিঅ্যাক্টর বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরীণ কন্টেনমেন্ট গম্বুজের তিনটি স্তরের মধ্যে প্রথমটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৫ টন ওজন এবং ৪২.৮ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট বৃহৎ–আকারের এই কাঠামোটি নকশা অনুযায়ী বসানো হয়েছে, অর্থাৎ ৪৪.১ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কন্টেনমেন্ট গম্বুজের ইনস্টলেশন প্রযুক্তিগতভাবে জটিল এবং রিয়্যাক্টর ইউনিট নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে এটিই সবচেয়ে চমকপ্রদ।
অভ্যন্তরীণ কন্টেনমেন্ট গম্বুজের সংযোজন এবং স্থাপন ট্রেস্ট রোসেম এলএলসি শাখার (রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অংশ) বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত হয়। কেটারপিলার ক্রেন ‘লাইবহার এলআর–১১৩৫০ (যার উত্তোলন ক্ষমতা ১৩৫০ টন) দ্বারা কাঠামোটি প্রায় ৪.৫ ঘন্টার মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছিল।
অভ্যন্তরীণ কন্টেনমেন্ট গম্বুজের তিনটি স্তরের প্রাক সমাবেশ করতে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত প্রায় ১৫১ দিন সময় লেগেছে। যেখানে ইউনিট ১ এর জন্য, এই একই প্রক্রিয়াটি ২০৭ দিন সময় নিয়েছিল। ইউনিট ২ এর ক্ষেত্রে ইউনিট ১ হতে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রায় দুই মাস সময় কমানো সম্ভব হয়েছে।
সংযুক্তিঃ
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উপাদান হল অভ্যন্তরীণ কন্টেনমেন্ট। এটি শুধুমাত্র চুল্লির কম্পার্টমেন্টকে রক্ষা করে না, বরং পাইপলাইনের প্রবেশের সুবিধা ও পোলার ক্রেন হিসেবে কাজ করে পারমাণবিক চুল্লিকে পরিসেবা প্রদান করে।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মোট ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি VVER-1200 চুল্লি দিয়ে সজ্জিত রাশিয়ান ডিজাইনের অধীনে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখের সাধারণ চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে। রাশিয়ার করা নকশায় বাংলাদেশের প্রথম এনপিপির জন্য VVER-1200 মডেলের চুল্লি নির্বাচন করা হয়েছে, যেটি নভোভোরোনেজ এনপিপির দুটি ইউনিটে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://rosatom.ru/en/index.html