প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বই মেলা আয়োজন করা হয় এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বইমেলার এলাকা বর্নিল সাজে সজ্জিত হয় এবং দেশের প্রায় প্রতিটি লেখকই রাজধানীর এ বই মেলায় আসেন তাদের বই উন্মোচন করতে।
পারমাণবিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলকে জনপ্রিয় করার জন্য সারা ফেব্রুয়ারি জুড়ে মেলার বাংলা একাডেমি চত্বরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এর স্টলে পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র, ঢাকা বিভিন্ন শিক্ষা মূলক কার্যক্রমের আয়োজন করেছিল।
স্টলে তথ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয়েছিল তাৎক্ষণিক আকর্ষণীয় কুইজ, ফেইস পেইন্টিং এবং গেমস, সাথে ছিল চমৎকার সব তথ্যমূলক বই যেগুলো দর্শনার্থীরা উপহার হিসেবে বিনামূল্যে পেয়েছে। এছাড়া সকলের সাধারণ প্রশ্ন এবং জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া হয়েছে তথ্য কেন্দ্র থেকে।
পতাকা দেখে দেশের নাম বলতে পারা (গ্যেস দা ক্রান্ট্রি), আবিষ্কার অথবা আবিষ্কারকের ছবি দেখে সাল অনুযায়ী সাজানো (ক্রোনোগ্রাফ), তেজস্ক্রিয় উপাদানগুলির ভর সংখ্যা দেখে সাজান (শর্ট দা রেডিও অ্যাকটিভ এলিমেন্ট), চ্যালেঞ্জিং ফ্ল্যাট আর্থ, মাইন্ড স্প্রিন্ট, বিজ্ঞানীর অবিষ্কার অথবা জীবনকাল সম্পর্কে জেনে সেই বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারা (গ্যেস দা সাইনটিস্ট) ইত্যাদি কুইজ এবং গেমগুলো দর্শনার্থীদের বেশি অকৃষ্ট করেছিল।
এছাড়া প্রথমবারের মতো “ক্লিন এনার্জি” গেমটি আয়োজন করা হয়েছিল, যা পরিবেশ বান্ধব শক্তির বিকল্প উৎসগুলি সম্পর্কে দর্শকদের জ্ঞানের পরিধি যাচাই করেছে এবং এগুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা প্রদান করেছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সোমবার বিকালে মেলায় উপস্থিত ছিলেন এনার্জি অফ দা ফিউচারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টস এর কমিউনিকেশন টিম।
সবকিছু মিলিয়ে “অমর একুশে বই মেলা ২০২৪” সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হয়েছে এবং ৪০০০ এরও বেশি দর্শনার্থী তথ্য কেন্দ্রের শিক্ষা মূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে।