প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র এর উদ্যোগে নিউক্লিয়ার কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে
১৪.১১.২০২৪

সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র (পিআইসি), ঈশ্বরদীতে সফলভাবে একটি নিউক্লিয়ার কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করা। অনুষ্ঠানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং উত্তরগুলোর ব্যাখ্যা করার জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রীতম কুমার দাস অংশগ্রহণ করেন। তাদের অংশগ্রহণ কর্মসূচির মান বৃদ্ধি করে এবং সহযোগিতামূলক ও উৎসাহজনক পরিবেশ তৈরি করে।

অনুষ্ঠানটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক গেমের মাধ্যমে শুরু হয় যা শিক্ষার্থীদের জন্য পারমাণবিক বিজ্ঞানের মূল ধারণাগুলি মজার ও ইন্টারঅ্যাক্টিভ উপায়ে আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। এটি অংশগ্রহণকারীদের মাতিয়ে রাখে এবং পরবর্তী আলোচনার জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা মূলত নলেজ টেবিল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। পাঠকদের সুবিধার্থে বলে রাখা ভালো যে, নলেজ টেবিল একটি খুবই জনপ্রিয় সেগমেন্ট, দর্শনার্থীরা এখান থেকে জ্ঞান বিজ্ঞানের নানান শাখা সর্ম্পকে জানতে ও শিখতে পারে, কিছু মজাদার তথ্য সম্বলিত গেমস এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যেমন, পতাকা দেখে দেশের নাম বলা, তেজস্কিয় মৌল সমূহ বাছাই করা, আবিষ্কারকের তথ্য বিশ্লেষণ করে তার নাম বলতে পারা, আবিষ্কার অথবা উদ্ভাবনের সালের উর্ধ্বক্রম বা নিম্নক্রম অনুযায়ী সাজানো, বিভিন্ন ধরনের পাজল সমাধান করা, মিথবাস্টার কীট এর সাহায্যে বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অগমেন্টেড রিয়্যালিটির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম এবং কাজ সম্পর্কে জানাসহ আরো অন্যান্য। সকলেই প্রায় এই মজার “নলেজ টেবিল” এ অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কার এবং ব্রোশিওরের মতো স্যুভেনির জিতে নেন।


এরপর কুইজ প্রতিযোগিতায় ৯৮ জন শিক্ষার্থী উচ্ছ্বসিতভাবে অংশগ্রহণ করেন, যারা অফলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোনীত হন। শিক্ষার্থীদের দুটি দলে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি দল একটি প্রাণবন্ত এবং চিন্তাশীল কুইজ সেশনে অংশ নেয়। কুইজ শেষে ড. প্রীতম কুমার দাস উত্তরগুলোর ব্যাখ্যা দেন, যা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের বিষয়বস্তুর গভীর জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হয়। কুইজের উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে প্রথম দশজন সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জনকারীদের বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং বিজয়ী সকলকে স্মার্ট ওয়াচ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

সবশেষে পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তারা পারমাণবিক বিজ্ঞান ও এর প্রয়োগ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি জাতীয় উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখতে পারে তা তুলে ধরেন।