
বাবা দিবস উপলক্ষ্যে সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র (পিআইসি), ঈশ্বরদী আয়োজন করে এক অভিনব ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান — “ম্যাচ দা সায়েন্টিস্ট: বাবা দিবসের বিশেষ আয়োজন”। এই ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন দাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও নূরজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ জন শিক্ষার্থী।
পিআইসি সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজ্ঞান জগতের পথপ্রদর্শকদের (যাঁদের অনেকেই নিজেদের ক্ষেত্রের “জনক” হিসেবে পরিচিত) সম্মান জানানো হয়। একটি উত্তেজনাপূর্ণ কুইজ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানীদের জীবন, অবদান ও বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হন এবং একই সাথে বাবাদের মতো গাইড ও মেন্টরদের ভূমিকাও উদ্যাপন করা হয়।
প্রতিযোগিতার ধরণ:
শিক্ষার্থীরা দলে ভাগ হয়ে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়। প্রতিটি রাউন্ডে থাকে একটি উক্তি বা সূত্র— যেমন, “আমি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত”, “আমি পর্যায় সারণির জনক” ইত্যাদি। পরবর্তীতে দেখানো হয় বিজ্ঞানীদের ছবি এবং সবশেষে সকলের সামনে বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়। দলগুলোকে সেই সূত্র অনুযায়ী সঠিক বিজ্ঞানীর সঙ্গে মিল খুঁজে বের করে।
আলবার্ট আইনস্টাইন, গ্রেগর মেন্ডেল, দিমিত্রি মেন্ডেলেভ, অ্যালান টিউরিং, রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন, চার্লস ডারউইনের মতো কিংবদন্তি বিজ্ঞানীদের নিয়ে মূলত প্রশ্ন করা হয়।
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য পয়েন্ট দেয়া হয় এবং যারা দ্রুততম সময়ে সব সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে, তাদের জন্য ছিল বোনাস পয়েন্ট।
এই সময়সীমা বদ্ধধ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিন্তা, দলগত কাজ ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা বিকাশে সহায়তা করে। একই সঙ্গে এটি বিজ্ঞানীদের অবদান সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসকে সম্মান জানাতে উৎসাহিত করে।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা জানায়—
এই অনুষ্ঠানটি একদিকে যেমন আনন্দদায়ক, তেমনই জ্ঞানবর্ধকও ছিল। এটি শুধু বাবা দিবস উদ্যাপন নয়, বরং বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা ও অনুসন্ধানী মনোভাব গড়ে তোলার একটি অসাধারণ উদ্যোগ।
পিআইসি আবারও প্রমাণ করেছে—বিশেষ দিনগুলোকে সৃজনশীল শিক্ষার মাধ্যম বানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান, জ্ঞান ও উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।