সর্বসাধারণ পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র
সাইটটি বাংলাদেশের পারমাণবিক শিল্প, পারমাণবিক শক্তি এবং বিকিরণ সুরক্ষার সাধারণ নীতিগুলি, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার এবং সঠিক উত্তর পাওয়ার সুযোগের পাশাপাশি পাবনা জেলায় শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার তথ্য সরবরাহ করে।
বিআরইএসটি-ওডি-৩০০ তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
বিআরইএসটি-ওডি-৩০০-এর নকশার মূলনীতি:
রিঅ্যাক্টরটির দুই-সার্কিট বিশিষ্ট ডিজাইন রয়েছে:
-প্রাথমিক সার্কিটে নিউক্লিয়ার ফুয়েল গলিত সীসাকে উত্তপ্ত করে।
-গলিত সীসা স্টিম জেনারেটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দ্বিতীয় সার্কিটের পানিতে তাপ স্থানান্তর করে।
-সেই পানি বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং টারবাইন জেনারেটর ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
পারমাণবিক শক্তি এত নিরাপদ কেন?
আধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ডিফেন্স-ইন-ডেপথ নামে একটি নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করে— যেখানে বহুস্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। এর ফলে একটি স্তর ব্যর্থ হলেও অন্য স্তরগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এই স্তরগুলো কীভাবে কাজ করে?
১ম সুরক্ষা স্তর: ফুয়েল ম্যাট্রিক্স ও ফুয়েল ক্ল্যাডিং তেজস্ক্রিয় পদার্থকে শক্তভাবে ভেতরে সিল করে রাখে।
২য় সুরক্ষা স্তর: রিঅ্যাক্টর কন্ট্রোল সিস্টেমের সীমানা আরও একটি শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়।
৩য় সুরক্ষা স্তর: শক্তিশালী কনটেইনমেন্ট বিল্ডিং পরিবেশে কিছু বের হতে বাধা দেয়।
এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে, একটি শক্তিশালী সেফটি কালচার নিশ্চিত করে যে, সমস্ত সিস্টেম সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে পরিচালিত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এখন নিশ্চিত আর নির্ভয় লাগছে না?
ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো চলনযোগ্য বিদ্যুৎ ইউনিট, যেমন রাশিয়ার “অ্যাকাডেমিক লোমোনোসভ”, যা এমন দূরবর্তী অঞ্চলে পরিষ্কার ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ করে যেখানে স্থলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব নয়। এগুলো নিরাপদ, কার্যকর ও সম্প্রসারণযোগ্য, এবং ইতোমধ্যে উপকূলীয় শহর, ডেটা সেন্টার ও শিল্প খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
অ্যাকাডেমিক লোমোনোসভ বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বিশ্বের প্রথম মোবাইল, ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি একটি ভাসমান প্ল্যাটফর্মে নির্মিত, যার মধ্যে রয়েছে একটি রিঅ্যাক্টর ভেসেল এবং একটি ফ্লোটিং পাওয়ার ইউনিট। এই ভেসেলে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কক্ষও রয়েছে।
(ছবি: অ্যাটম মিডিয়া)
ভেবে দেখেছেন কখনও—ইউরেনিয়াম আর রেডিয়াম কোথা থেকে আসে?
আসুন পরিচিত হই ইউরানিনাইট এর সাথে!
ইউরানিনাইট হলো সেই প্রধান খনিজ, যেখান থেকে আমরা ইউরেনিয়াম এবং রেডিয়াম পাই। এটি ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামের অ্যানহাইড্রাস অক্সাইড, এবং ন্যাস্টুরানের সাথে মিলে সম্পূর্ণ একটি ইউরেনিয়াম অক্সাইড সিরিজ তৈরি করে। স্বাভাবিকভাবেই তেজস্ক্রিয় হওয়ার কারণে ইউরানিনাইট হলো সেই মূল উৎস, যেখান থেকে ইউরেনিয়াম ও রেডিয়াম নিষ্কাশন করা হয়।
এটি একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী খনিজ— পারমাণবিক বিজ্ঞানে যার ভূমিকা বিশাল!
(ছবি: রোসাটম সাউথ এশিয়া ফেইসবুক পেইজ)
আপনি কি জানেন?
-জিরকোনিয়াম একটি চকচকে রুপালি-ধূসর ধাতু, যা ১৭৮৯ সালে জার্মান রসায়নবিদ মার্টিন ক্ল্যাপরথ আবিষ্কার করেন।
-এর খনিজ রূপ জিরকন পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়।
-জিরকোনিয়াম পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এবং সহজে নিউট্রন শোষণ করে না।
-পারমাণবিক শিল্পের বাইরে ব্যবহৃত জিরকোনিয়াম অ্যালয়ে হ্যাফনিয়াম বেশি থাকে (প্রায় ৪.৫% পর্যন্ত), কিন্তু পারমাণবিক মানের জিরকোনিয়ামে এটি সর্বাধিক ০.০৫%।
-পারমাণবিক শক্তি ছাড়াও, জিরকোনিয়াম পেট্রোলিয়াম, রাসায়নিক এবং যান্ত্রিক প্রকৌশল শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এটি নানা আকারে পাওয়া যায়— ইনগট, পাইপ, বার, শিট, তার এবং এমনকি জিরকোনিয়াম স্পঞ্জ আকারেও!
