২০২০ সালের ৩০শে নভেম্বর ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রের (পিআইসি) সূচনা হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রটি ঈশ্বরদীর সাধারণ জনগণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে একটি সেতু হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি, পিআইসি তার চত্বরে কোভিড বিরোধী কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরো একটি অফলাইন সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারের শিরোনাম ছিলোঃ “Safe NPP: What do you know about it?” এবং দেড় ঘন্টার এই সেমিনারে মাধ্যমিক বিভাগের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ঈশ্বরদীর কিছু কলেজের অধ্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসাবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ প্রীতম কুমার দাস এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। গোলাম সাহিনুর ইসলাম, পিএসও, BAEC; ব্যবস্থাপক, এনপিসিবিএল; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রশিক্ষক তার মতামত উপস্থাপন করেন।
ডঃ প্রীতম কুমার দাস রূপপুর এনপিপিতে ব্যবহৃত হবে এমন সমস্ত অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্পূর্ণ বক্তব্যই ব্যাখ্যার সাথে সন্দুরভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “আমি এটা বলতে পেরে খুব খুশি যে, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত শক্তি বৈচিত্র্য অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছে।”
গোলাম সাহিনুর রহমান বলেন , “আমি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাথে কাজ করছি এবং অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অঞ্চলটি অন্য যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশ বান্ধব এবং নিরাপদ।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশ্বরদীর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ সেলিম আক্তার। তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি “পারমাণবকি তথ্য কেন্দ্র (PIC)” কে এরকম সেমিনার আরো বেশি বেশি করে আয়োজন করার অনুরোধ করেন যাতে পারমাণবিক সম্পর্কিত মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা দূরীভূত হয়। তার পাশাপাশি, এনপিসিবিএল এর সহকারী ব্যবস্থাপক জনাব মাহমুদুন নবী এবং উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার জনাব আরিফুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ঈশ্বরদীর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এ জাতীয় আরও কিছু সেমিনারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা তারা প্রদান করবেন।
ঈশ্বরদীর স্কুল-কলেজের ২৮ জন সম্মানিত শিক্ষক এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়ে এবং তা জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রকে এরকম সেমিনার আরো বেশি বেশি করে আয়োজনের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।