প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে সৃজনশীল অভিব্যক্তির সাথে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করেছে
২৬.০৩.২০২৪

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বাংলাদেশ তার ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ৫৪ বছরে পদার্পণ করেছে। সারাদেশ যখন ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ এবং বক্তৃতার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করছে, পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্র, ঈশ্বরদী দিনটির তাৎপর্যকে সম্মান করার জন্য তখন একটি অনন্য আকর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তথ্য কেন্দ্র রূপপুর গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি সৃজনশীল কারুশিল্প অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, যেখানে তারা হস্তনির্মিত শিল্পের মাধ্যমে স্বাধীনতার উপলব্ধি প্রকাশ করতে পারে।

“সেলিব্রেট দা স্পিরিট অব ইনডিপেনডেন্স” শিরোনামের অনুষ্ঠানটি প্রায় ৪৫ জন উৎসাহী শিক্ষার্থীদেরকে একত্রিত করেছিল। কাগজ, আঠা, রং পেন্সিল এবং কাঁচি দিয়ে শিক্ষার্থীরা কাজ শুরু করে, সাধারণ উপকরণকে শিল্পের অভিব্যক্তিপূর্ণ কাজে রূপান্তরিত করে। প্রতিটি সৃষ্টিই ছিল তরুণ শিল্পীদের কাছে স্বাধীনতা মানে কী তার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা। পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণকারীদেরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেছিল, যা দেশের এনার্জি ইনডিপেনডেন্সি এবং সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমিকা প্রতিফলিত করে।

ভবিষ্যতে তথ্য কেন্দ্র একটি প্রদর্শনী আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা কারুশিল্প প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে, যা বাংলাদেশের যুবক যুবতীদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে এবং তা উদ্‌যাপন করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে এবং এনার্জি ইনডিপেনডেন্সি সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করবে। স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি শুধু অংশগ্রহণকারীদের বিনোদন ও জ্ঞানের প্রসারই ঘটায়নি বরং দেশের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধিও গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশ যখন সার্বভৌমত্বের আরেকটি বছর উদ্‌যাপন করছে, তখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে “সেলিব্রেট দা স্পিরিট অব ইনডিপেনডেন্স” কারুশিল্প প্রতিযোগিতার মতো অনুষ্ঠানগুলি দেশের স্থিতিস্থাপকতা, সৃজনশীলতা এবং একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।