রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এগিয়ে চলছে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ভিত্তিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। বছরের শেষ নাগাদ মূল রিয়্যাক্টর বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর প্রকল্পের কাজে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে জানিয়ে বলেন, “প্রথম ইউনিটের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্টের নির্মাণের তৃতীয় ধাপে ১২টির মধ্যে ৭ম প্রি-স্ট্রেসড মাউন্টিং ব্লক স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।”
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে ১৪.৫ মিটার নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিপূর্বে দুই ধাপে ২০ মিটারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্টের মোট উচ্চতা হবে ৬১.৭ মিটার।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মাটির নিচে ৩০ মিটার কাঠামোর নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর স্থাপিত হয়েছে কোর ক্যাচার। বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বয়ংক্রিয় আধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কোর ক্যাচার। একই সঙ্গে এগিয়ে চলছে বহিঃস্থ কন্টেইনমেন্টের নির্মাণ কাজ। এটির উচ্চতা হবে ৬৪.৫ মিটার।
রাশিয়া থেকে আসার পর চলতি বছরেই প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর ইন্সটলেশন কাজ শুরু হবে।
রূপপুর প্রকল্প সাইটে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ সরকারের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে। রাশিয়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট ও ১৬টি উপ-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। এই প্রকল্পে বিদেশী কর্মী-বিশেষজ্ঞ রয়েছেন দুই হাজারের অধিক যার মধ্যে অধিকাংশই রাশিয়ান। প্রকল্পটিতে দু’টি ইউনিট থাকবে, প্রতিটিতে স্থাপিত হবে সর্বাধুনিক ৩+ প্রযুক্তির ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টর। কেন্দ্রটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগা-ওয়াট।