প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
কিছু লিখুন
প্রেরণ করুন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফাউন্ডেশন পিট নির্মাণের সময় কমেছে
১০.০১.২০২১
রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগের বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ান শিট পাইল ওয়াল (আরএসএইচএস) প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফাউন্ডেশন পিট নির্মাণ করেছেন। এই ফাউন্ডেশন পিট পানি অনুপ্রবেশের কাঠামো ও ফিড পাম্প স্টেশনকে ধরে রাখে।

রাশিয়ান শিট পাইল ওয়ালগুলি এক ধরনের নির্মাণ কিট যা শিট পাইলের ওপর ভিত্তি করে বিমসহ একটি তৈরি সমাধান। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জটিল হাইড্রোলজিকাল অবস্থার জন্য অন্যান্য প্রযুক্তি তেমন উপযুক্ত হতো না। এই কারণে প্রকৌশল বিভাগের অন্তর্গত প্রযুক্তি হস্তান্তর সেন্টার (টিটিসি) আরএসএইচএস প্রযুক্তিকে সবচাইতে ভালো উপলদ্ধ (বিএটি ডাটাবেজ) প্রযুক্তি হিসেবে বাছাই ও ডাটাবেসে সংযুক্ত করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, অনুরূপ শীট-পাইল স্ট্রাকচার যেমন টিউবুলার শিট পাইল (টিএসএইচ) পদ্ধতির সাথে তুলনা করলে দেখা যায় আরএসএইচএস প্রযুক্তির অনেক সুবিধা আছে যার মাধ্যমে অল্প খরচেই পুরো প্রক্রিয়াকে একটি সহজ সমাবেশ গঠনে সহায়তা করে এবং এর স্থায়িত্বও অনেক দীর্ঘ হয়। টিএইচএস পদ্ধতির তুলনায় আরএসএইচএস প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় সুবিধা পাইলগুলোকে নির্মাণ কেন্দ্রে নিতে অনেক কম সময় লাগে। এর মাধ্যমে কাঠামোগুলি ধরে রাখার জন্য ইনস্টলেশন সময় দ্বিগুণ কমে যায় এবং কাজের ব্যয় প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়।

উল্লিখিত প্রযুক্তিটিকে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টিটিসি একটি প্রযুক্তিগত জোট গঠন করেছে যা অ্যাকোয়াটিক জেএসসি, জিকে প্রোফিল লিমিটেড এবং ওর্গেনেরগোস্ট্রয় ইনস্টিটিউট জেএসসি এবং ডিজাইনের সম্পর্কিত তথ্যের জন্য অ্যাটমেনারগোপ্রোয়েক্ট জেএসসির একটি শাখা অফিস নিঝনি নভগোরদ ডিজাইন ইনস্টিটিউটের সাথে মতবিনিময় করেছে।

এই অভিজ্ঞতা রোসাটম অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণেও কাজে লাগাতে পারে। রূপপুর এনপিপিতে প্রাপ্ত সফল অ্যাপ্লিকেশন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আরএসএইচএস প্রযুক্তি বর্তমানে রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের আরও একটি এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পে সক্রিয় ব্যবহারে রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে প্রযুক্তিটি উত্তর সমুদ্র রুটের অবকাঠামো তৈরি ও বিকাশে প্রয়োগ করা হবে।

কাজ শুরুর ৬৮ মাসের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে রাশিয়ান কোম্পানি জেএসসি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের, যা রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি অংশ। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হবে।