০৬ ডিসেম্বর ঈশ্বরদীতে সফলভাবে সমাপ্ত হলো ৭ দিনব্যাপী নিউক্লিয়ার বাস ট্যুর। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জনমনে আগ্রহ সৃষ্টি করা, পরমাণু শক্তি সর্ম্পকে সর্বসাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করা (পরমাণু শক্তির সুফল, পরমাণু প্রযুক্তির নিরাপত্তা), জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যাবহার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন– রসাটম এর সহযোগিতায় ব্যাতীক্রমধর্মী এই বাস ট্যুরের আয়োজনে করে এনার্জি অব দ্যা ফিউচার।
রসাটমের প্রতিনিধি জানান, “পরমাণু শক্তি বিষয়ে রাশিয়া–বাংলাদেশ যৌথ কমুনিকেশন কর্মসূচীর আওতায় আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এই বাস ট্যুরটির আয়োজন করেছি। উদ্যোগটির অভাবনীয় সাফল্য দ্বারা আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত এবং সামনের বছরগুলোতেও এ জাতীয় বাস ট্যুর আয়োজনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি”।
বিশেষভাবে সজ্জিত একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস “নিউক্লিয়ার বাস” পরিচয় নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, এবং রংপুর বিভাগের ১০টির অধিক জেলা পরিভ্রমণ করে। নিউক্লিয়ার বাসে ভ্রমণকারী ঢাকার পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র (ICONE) এবং ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রের (PIC) তরুন প্রকৌশলীরা বিভিন্ন জেলায় সাধারণ জনগনের জন্য প্রায় ১৫টি রোড–সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে। সকল বয়সের ৩,৬০০ এর অধিক মানুষ এসকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিটি ইভেন্টে তরুন পেশাদাররা অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মতবিনিময় করেন, পরমাণু প্রযুক্তির ব্যাবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপান এবং আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং গেমস ছিল ইভেন্টগুলোর অতিরিক্ত আকর্ষণ। সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পুরষ্কার হিসেবে বিভিন্ন সুভেনির লাভ করেন। এছাড়াও, আগ্রহীদের মধ্যে তথ্যমূলক লিফলেট ও বিভিন্ন পুস্তকবিতরণ করা হয়।