রোসাটম নিশ্চিত করেছে যে এটি বর্তমানে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থা। গত বছর রোসাটম রাশিয়ান পারমাণবিক শিল্পের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করে। রোসাটম দ্বারা নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি ২১৫.৭৪৬ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
রোসাটমের বৈদ্যুতিক শক্তি বিভাগের একটি অংশের মহাপরিচালক উল্লেখ করেন যে, “আমরা ২০২০ সালে রাশিয়ান পারমাণবিক শক্তি শিল্পের পুরো ইতিহাসে এক নিখুঁত রেকর্ডের সাথে শেষ করলাম, যা কেবল ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত যুগের সময়েই অর্জন হয়েছিল যখন ইউক্রেন, লিথুয়ানিয়া এবং আর্মেনিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ মোট ২১৫.৬৬৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল।”
রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি কেবল সোভিয়েত ইউনিয়নেরই রেকর্ডকে ভেঙ্গে দেয়নি, বরং তাদের নিজেদের গড়া ২০১৯ সালের রেকর্ডও ভেঙ্গে দিয়েছে (২০১৯ সালে উৎপন্ন হয়েছিলো ২০৮.৭ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ)।
বলে রাখা ভালো যে ১৯৮৮ সালে পারমাণবিক শক্তির বিকাশের শীর্ষে, সোভিয়েত ইউনিয়নে ৪৭ টি পাওয়ার ইউনিট চালু ছিল; এবং আজ কোম্পানীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ৩৭ টি।
৩২.৮ বিলিয়ন কিলোওয়াট ক্ষমতার সাথে রোসটভ এনপিপি, ৩০.৬ বিলিয়ন কিলোওয়াট ক্ষমতার বালাকোভো এনপিপি এবং ২৮.৪ বিলিয়ন কিলোওয়াট ক্ষমতার ক্যালিনিন প্লান্ট রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির মধ্যে সর্বাধিক আউটপুট সরবরাহ করেছিল যা এই রেকর্ডটিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে।
এছাড়াও, ২০২০ সালের মে মাসে চুকোটকায় একটি ভাসমান পারমাণবিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র (এফএনপিপি) চালু করা হয়েছিল। বছরের শুরু থেকেই এটি প্রায় ১২৭.৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে।
এই মুহুর্তে রাশিয়ার মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ১৯% বিদ্যুৎ আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে। সুতরাং, রাশিয়ায় গড়ে পাঁচটি বাল্বের মধ্যে একটি বাল্ব জ্বলে পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে!