রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এগিয়ে চলছে। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরির কাজও রাশিয়ার এগিয়ে চলছে।
বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে তৈরির পর বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কিছু কিছু যন্ত্রাংশের শিপমেন্ট হয়েছে এবং বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পের সব কাজ সময় অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। রুশ প্রতিষ্ঠান এটোমাশের এইএম টেকনোলজির অন্তর্ভুক্ত ভলগাদন্সক শাখায় প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলের লোয়ার সেমি-ভেসেলের সংযোজন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য এটোমাশ রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমএনার্গোমাশের একটি অংশ।প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে ইতোমধ্যে প্রস্তুতকৃত আপার সেমি-ভেসেলের সঙ্গে এটিকে সংযুক্ত করা হবে। রিয়্যাক্টর মূলত একটি খাড়া সিলিন্ডার আকৃতির কাঠামো যার তলদেশ উপবৃত্তাকার। এর ভেতরেই রিয়্যাক্টরের কোর এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি অবস্থান করে। রিয়্যাক্টর ভেসেলের উপরিভাগে কুল্যান্ট বা শীতলকারী পদার্থ প্রবাহের জন্য ইনলেট এবং আউটলেটের পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় কুল্যান্ট সরবরাহের জন্য ও ইনলেট পাইপের ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্যদিকে, এটমএনার্গোমাশের অন্য একটি শাখা জিও-পাডলস্ক টার্বাইন হলের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির প্রথম লটটি নির্মাণের পর সম্প্রতি রাশিয়া থেকে শিপমেন্ট করেছে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ময়েশ্চার সেপারেটর-রিহিটার (এমএসআর)। শিপমেন্টের মোট ওজন ২১১টন এবং এসব যন্ত্রপাতির সার্ভিস লাইফ ৫০ বছর।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি গত মাসে রিয়্যাক্টর প্ল্যান্ট প্রেসারাইজার সিস্টেমের একটি অন্যতম অংশ বাবলার ট্যাংক শিপমেন্ট করেছে, যা শিগগিরই রূপপুর সাইটে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমএসআর-এর কাজ হলো, টার্বাইনের উচ্চাপ সিলিন্ডারে আদ্র বাষ্পকে আদ্রতামুক্ত ও পুনরায় উত্তপ্ত করা।
রুশ নকশা অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে প্রতিটি ১২০০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট থাকবে। প্রতিটি ইউনিটে সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপিত হবে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সাল এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৪ সালের মধ্যে কার্যকর হবে বলে ধারনা।